নিয়মিত কিসমিস খেলে কি উপকার হয়

 আরে, এটা তো কিসমিস। ছোট শুঁকনো ফল। এই ছোট ফল আবার কি উপকারে আসে ?! এটা খেলে কি হবে ?! এটা কেন খাবো ?! এগুলো মনে প্রশ্ন জাগছে! তাই তো আজকে আপনাদের জানাবো এই ছোট শুঁকনো ফলের কি গুণাগুণ! এটি নিয়মিত খেলে কি হয় ? আর কেন খাবেন ? কিভাবে খাবেন ? সব কিছু বিস্তারিত জানবো........

নিয়মিত-কিসমিস-খেলে-কি-উপকার-হয়

কিসমিস একটি সুপরিচিত শুকনো ফল। যা স্বাদের দিক থেকে নয় বরং স্বাস্থ্যের দিক থেকেও অনেক উপকারী। এই ছোট ফলের ভিতরে লুকিয়ে আছে ভিটামিন, মিনারেল, আইরন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত কিসমিস অল্প পরিমাণে খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাঃ

নিয়মিত-কিসমিস-খেলে-কি-উপকার-হয়

(১) ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ করেঃ 

কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ কমায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চোখের নিচের কালো দাগ কমায়, ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।


(২) রক্তশূন্যতা দূর করেঃ

কিসমিসে আয়রন, কপার, ভিটামিন -বি কমপ্লেক্স প্রচুর পরিমাণ থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে। এবং রক্তশূন্যতা দূর করে।


(৩) হাড় ও দাঁত মজবুত রাখেঃ 

কিসমিসে আছে, ক্যালসিয়াম ও বোরন। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, ও দাঁতের সুস্থতায় সাহায্য করে।


(৪) হজম প্রক্রিয়ায় উন্নত করে ঃ

কিসমিসে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, অন্ত্র পরিষ্কার রাখে, হজমে সাহায্য করে।


(৫) শরীরে শক্তি যোগায় ঃ

এতে আছে প্রাকৃতিক ভাবে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ থাকার কারণে কিসমিস দ্রুত এনার্জি দেয়, যা মানুষের জীবনের জন্য দরকার।


(৬) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ঃ

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম কোলেস্টেরল  নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।


(৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঃ

ভিটামিন সি ও প্রয়োজনীয় মিনারেল শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।


(৮) চোখের জন্য উপকারিঃ

ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, এবং চোখের ছানি পড়া রক্ষা করে। ১০০ গ্রাম কিসমিসে আছে ৩১৬ ক্যালরি, ও কার্বোহাইড্রেট আছে ৭৬ গ্রাম। অ্যাসিডিটি হয়ে থাকলে নিয়মিত কিসমিস খেলে অ্যাসিডিটি ভালো হয়। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে করে। ১০-১২ টা কিসমিস খেলে প্রতিদিন স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

নিয়মিত-কিসমিস-খেলে-কি-উপকার-হয়

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ঃ

✔ কিসমিস ভিজিয়ে খেলে হজমে সাহায্য করে।

✔ শরীরে দ্রুত শোষিত হয়।

✔ যকৃত পরিষ্কার করে।

✔ চুল ও ত্বক সুন্দর রাখে।

✔ প্রতিদিন রাতে ১০ টা থেকে ১২ টা কিসমিস, পানিতে ভিজিয়ে রেখে , সকালে খালি পেটে কিসমিস সহ পানি খেলে অনেক উপকার হয়।


 সতর্কতা ঃ

তো অতিরিক্ত কিসমিস খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হতে পারে তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত।


কিসমিস হল একটি প্রাকৃতিক সুগারফুড । কিসমিসের উপকারিতা অপরিসীম। তাই স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া জরুরী এটি ত্বক ও স্বাস্থ্য ভালো  রাখে।



আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লাগলে, অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।🍁







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url